এবার মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ঢেউ ও ঝড়ের কবলে পড়ে নাফ নদীতে দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ১২ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। যেখানে ৬ শিশু ও ৬ নারী রয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে ৩১ জন রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ নারী ও ১৫ শিশু রয়েছেন।
আজ বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ নাফনদীর জেটিঘাট এলাকা থেকে ২ শিশু ও ৩ নারী, সাগর তীরবর্তী শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া সৈকত থেকে ২ নারী ও ২ শিশু এবং পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে ১ নারী ও ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে মরদেহগুলো উদ্ধারের খবর পেয়ে স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাফনদী ও সাগর তীরবর্তী এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে রাতের আধাঁরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে পৃথক ঘটনায় নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। ওইসব ঘটনায় নিখোঁজ থাকা নারী, পুরুষ ও শিশুর মরদেহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভেসে আসছে।
এদিকে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল এবং নজরদারি জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বুধবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাব্বির আলম সুজন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষিতে সীমান্ত নিরাপত্তায় কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। চলমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নাফ নদী ও সেন্টমার্টিন এলাকায় যে কোন প্রকার অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে উপকূলীয় অঞ্চলে টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্রে সার্বক্ষণিক টহল জাহাজ মোতায়েনসহ নিয়মিত হাই স্পীড বোটের মাধ্যমে টহল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।